ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১ ১৪৩১

নেত্রকোণার পূর্বধলায় আউশ ধানের ভালো ফলনে কৃষকরা খুশি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:৩৬, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

নেত্রকোণার পূর্বধলায় আউশ ধানের ভালো ফলনে কৃষকরা খুশি

নেত্রকোণার পূর্বধলায় আউশ ধানের ভালো ফলনে কৃষকরা খুশি

নেত্রকোণার পূর্বধলায় এ বছর আউশধানের ফলন খুব ভাল হয়েছে। বোরো ও আমনের মাঝ খানে অতিরিক্ত ফসল হিসেবে এ আউশ ধান মাড়াই করতে পেরে কৃষকদের মাছে খুশির আমেজ বিরাজ করছে। উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় ও তত্বাবধানে এমন ফসল ফলাতে পারছেন বলে জানিয়েছেন আউশ ধান আবাদকারী কৃষকরা।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ১৭০ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এই লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে উপজেলায় ২০৭ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদ করা হয়। হেক্টর প্রতি ধান উৎপাদন হয় ৩.১ মে:টন।

উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কৃষকদের পাকা আউশ ধান কাটতে দেখা দেখা গেছে। এ সময় উপজেলা সদর ইউনিয়নের বামনডহর গ্রামের কৃষক শামছুদ্দিন উসমান খান, মোতালেব খান, সুমন খান জানান তারা এখানে ২৫ হেক্টর জমিতে গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় আউশ আবাদ করেন। উদবুদ্ধ করনের জন্য তাদেরকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ, সার ও অনান্য উপকরন সরবরাহ করা হয়। নিবিড় পরিচর্যা ও কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক তত্বাবধানে ধানের ফলনও খুব ভাল হয়েছে। এখানে প্রতি এক কাঠা জমিতে (৮শতক) প্রায় ৪-৫মন ধানের ফলন হয়েছে। বাজারে বর্তমানে এই ফসলের শুকনা একমন ধান তারা ১২শ থেকে ১৩শ টাকা বিক্রি করতে পারছেন। আউশ ধানের এমন ফলনে তারা খুবই খুশি। বোরো কাটার পরপরই রোপিত আউশ ধান কেটে আবার আমন ধান রোপন করতে পারছেন। ফলে একই জমিতে বছরে তিনটি ফসল বোরো, আউশ ও আমন রোপন করতে পারবেন।উপজেলা সদর ইউনিয়নের বামনডহর গ্রামে আনুষ্ঠানিক ভাবে আউশ শস্য কর্তনের সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক, আবু মো. এনায়েতুল্লাহ, উপ-পরিচালক সালমা আক্তার,উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: আলমগীর কবীরসহ অন্যান্য কৃষিকর্মকর্তাগণ। এ সময় তারা আউশ ফলনে সন্তোষ্টি প্রকাশ করেন।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: আলমগীর কবীর যায়যায়দিনকে বলেন, নতুন উচ্চ ফলনশীল জাতের আউশ ধান রোপন করায় এ বছর আউশের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখানে বিঘা প্রতি প্রায় ২০ মন ধানের ফলন হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের প্রণোদনা প্রদান ও উদবুদ্ধকরনে মাধ্যমে সহযোগিতা করা হয়েছে। ক্লাস্টারের মাধ্যমে ফসল রোপন করায় পোকা মাকড়ের আক্রমনও কম ছিল। ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকদের মনে আশার সঞ্চার হয়েছে। আগামীতে আরো বেশি করে আউশ আবাদের পরিকল্পনা রয়েছে।

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়