ঢাকা, রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৩ ১৪৩১

খেলোয়াড়দের বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে চায় সরকার : শেখ হাসিনা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:০২, ১৪ জুলাই ২০২৪  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তুলতে পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ জন্য প্রতিটি বিভাগে বিকেএসপি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।প্রধানমন্ত্রী গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে ‘শেখ হাসিনা আন্ত ব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট’-এর ফাইনাল খেলা উপভোগ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলার জন্য ট্রেনিং করিয়ে উপযুক্ত করে গড়ে তোলা সব থেকে বেশি দরকার।

সে জন্য এখন প্রতিটি বিভাগে একটি করে ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) করা হচ্ছে। সেখানে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, দাবা, অ্যাথলেটিকস, ভলিবলসহ সব ধরনের খেলাধুলা প্রশিক্ষণের সুযোগ থাকবে।শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা যাতে ট্রেনিং পায় এবং আন্তর্জাতিক মানে যেন পারদর্শী হয়ে ওঠে, সেদিকে লক্ষ রেখেই আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি।’‘শেখ হাসিনা আন্ত ব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট’-এর ফাইনালে ইসলামী ব্যাংক পিএলসি ২-০ গোলে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসিকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়।

প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখনই আমি সরকারে এসেছি তখন থেকেই আমার প্রচেষ্টা, বাংলাদেশ যেন খেলাধুলায় আরো এগিয়ে যায়। কারণ এটি যেমন সবাইকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করবে, পাশাপাশি এর মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে উঠবে।’

এ দেশে মেয়েদের খেলাধুলায় একসময় বাধা আসার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকারের উদ্যোগে দেশব্যাপী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ এবং বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট থেকে অনেক খেলোয়াড় উঠে আসছে। তারা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে দেশের জন্য মর্যাদা বয়ে আনছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একসময় আমাদের দেশে উপযুক্ত খেলোয়াড় গড়ে উঠবে। আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলাধুলা করে শিরোপাও নিয়ে আসতে পারব। সেটাই আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে।’

প্রধানমন্ত্রী ফাইনালে বিজয়ী এবং বিজিত দলকে ট্রফি ও পুরস্কারের অর্থের চেক তুলে দেন এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।অনুষ্ঠানে দেশের ফুটবলের সার্বিক উন্নয়নের ওপর একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হয়।

অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও বক্তৃতা করেন। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস এর  (বিএবি) চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার স্বাগত বক্তৃতা দেন।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী ২৭ এপ্রিল উদ্বোধন হওয়া টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ৩১টি দলের মার্চপাস্ট দেখেন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

শেখ হাসিনা ট্রর্নামেন্টের আয়োজক বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি), বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বিএবি এ ধরনের আরো টুর্নামেন্টের আয়োজন করবে এবং খেলাধুলা যাতে দেশব্যাপী প্রসারিত হয় সে উদ্যোগ নেবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলা, সংস্কৃতিচর্চা, সাহিত্যচর্চা—এগুলো পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া কখনো হয় না। এ সময় তিনি ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন। জাতির পিতার কন্যা বলেন, তাঁর দাদা ও বাবা ফুটবল খেলতেন এবং এখন নাতি-নাতনিরাও খেলে। তা ছাড়া তাঁর ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামাল ফুটবল, ক্রিকেট, হকিসহ সব খেলায়ই পারদর্শী ছিলেন।

ক্রীড়ানুরাগী প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সময় পেলেই চলমান ‘ইউরো’ বা ‘কোপা আমেরিকা’ টুর্নামেন্টের ম্যাচ দেখে থাকেন।প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে অতিদরিদ্র বলে কোনো মানুষ আর থাকবে না। প্রত্যেক ভূমিহীন-গৃহহীনকে বিনা মূল্যে ঘর করে দেওয়া হচ্ছে, বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক, বৃত্তি-উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে, বড় বড় জেলাগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে বহুমুখী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে সরকার।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়