ঢাকা, রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৩ ১৪৩১

ইউরোপের কয়েকটি দেশের সঙ্গে শ্রমচুক্তি করতে চায় সরকার

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৫৬, ১৬ জুলাই ২০২৪  

ইউরোপের কয়েকটি দেশের সঙ্গে শ্রমচুক্তি করতে চায় সরকার

ইউরোপের কয়েকটি দেশের সঙ্গে শ্রমচুক্তি করতে চায় সরকার

ইউরোপে বৈধ পথে দক্ষ কর্মজীবীদের পাঠানোর জন্য কয়েকটি দেশের সঙ্গে মাইগ্রেশন অ্যান্ড মবিলিটি সমঝোতা করতে চায় সরকার। ইতোমধ্যে ইউরোপের শুধু গ্রিসের সঙ্গে মাইগ্রেশন অ্যান্ড মবিলিটি সমঝোতা রয়েছে বাংলাদেশের। পাশাপাশি ইতালি, স্পেন, অস্ট্রিয়া, মাল্টা ও পর্তুগালের সঙ্গেও এ ধরনের চুক্তি করতে চায় সরকার।এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রিসের সঙ্গে ২০২২ সালে আমরা ওই সমঝোতা করেছি। এর অধীনে প্রতি বছর ওই দেশ অবৈধভাবে অবস্থিত ১১ হাজার বাংলাদেশিকে বৈধতার সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি প্রতি বছর চার হাজার বাংলাদেশি কর্মজীবীকে নেওয়ার কথা বলা আছে।’

নতুন যে দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে, সেখানে তাদের চাহিদার ভিত্তিতে বাংলাদেশিদের পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে উল্লেখ থাকবে বলেও তিনি জানান।কোন কোন খাতে ইউরোপের দেশগুলো লোক নিতে আগ্রহী, জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘কৃষি, পর্যটন, নির্মাণ খাত, ট্রাকচালক ও অন্যান্য সেবা খাত রয়েছে।’

সমঝোতাগুলোর সর্বশেষ অবস্থা
মাল্টা: ইউরোপের দেশ মাল্টা পর্যটন ও সেবা খাতে লোক নিতে আগ্রহী। তাদের সঙ্গে মাইগ্রেশন ও মবিলিটি চুক্তির আলোচনা শেষ হয়ে গেছে। এখন এটি সইয়ের অপেক্ষায় আছে।

ইতালি: বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশকে নিজস্বভাবে ইতালি তাদের ‘ফ্লুসি’ স্কিমের আওতায় সিজনাল ওয়ার্কার নিয়ে থাকে। এর বাইরে বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে কর্মজীবী পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে। ইতালির দেওয়া প্রস্তাব এখন বাংলাদেশ বিবেচনা করছে এবং আশা করা হচ্ছে, এটি দ্রুত শেষ হবে।

স্পেন: বাংলাদেশের সমঝোতা প্রস্তাব ইতোমধ্যে স্পেনকে দেওয়া হয়েছে এবং সেটি তারা বিবেচনা করছে।

অস্ট্রিয়া: বাংলাদেশকে ইতোমধ্যে অস্ট্রিয়া তাদের প্রস্তাব দিয়েছে, যা সরকার বিবেচনা করছে।

অভিবাসন রাজনীতি
রাজনৈতিকভাবে অভিবাসন অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। ইউরোপে দক্ষিণপন্থিরা এর বিরোধী এবং তাদের জনতুষ্টিমূলক প্রচারণা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। নেদারল্যান্ডসে বর্তমানে দক্ষিণপন্থি সরকার ক্ষমতায় এবং অন্যান্য দেশেও তাদের রাজনৈতিক অবস্থান দিন দিন শক্ত হচ্ছে।

এ বিষয়ে এক কূটনীতিক বলেন, ‘অভিবাসন রাজনৈতিকভাবে ইউরোপে স্পর্শকাতর বিষয়। কিন্তু অর্থনীতিকে সচল রাখতে হলে তাদের কর্মজীবীদের প্রয়োজন।’

জার্মানির উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশটি গাড়ি উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু এখন কারখানায় কাজ করার জন্য যথেষ্ট দক্ষ শ্রমিক তাদের পক্ষে জোগাড় করা মুশকিল হয়ে পড়েছে।’

অভিবাসনের প্রতি ইউরোপের অনীহা এবং তাদের অর্থনৈতিক প্রয়োজনের মাঝামাঝি একটি ভারসাম্য তৈরি হবে এবং সেখানে বাংলাদেশের মতো দেশ থেকে তারা লোক নেবে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, ‘এখানে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লোক পাঠানো এবং ইউরোপে পৌঁছানোর পর বাংলাদেশিরা ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার আশায় পালিয়ে না যাওয়া।’

সর্বশেষ
জনপ্রিয়