ঢাকা, রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৩ ১৪৩১

অপ্রতিরোধ্য মেসির আর্জেন্টিনা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:২৩, ১৬ জুলাই ২০২৪  

অপ্রতিরোধ্য মেসির আর্জেন্টিনা

অপ্রতিরোধ্য মেসির আর্জেন্টিনা

ম্যাচের তখন ৬৩ মিনিট। হঠাৎ ব্যথা পেয়ে মাঠে শুয়ে পড়েন লিওনেল মেসি। ব্যথায় কাতরাতে থাকেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। খেলা বন্ধ। মাঠে ছুটে আসেন ডাক্তার। প্রাথমিক চিকিৎসা দেন মেসির পায়ে। কিন্তু খেলার মতো সুস্থ না থাকায় মাঠকর্মীরা তাকে মাঠের বাইরে নিয়ে যান। প্রিয় ফুটবলারের মাঠ ছাড়ার সময় গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শকদের চোখে তখন অশ্রু। আটবারের বিশ্বসেরা ফুটবলার ম্যাচের বাকিটা সময় ডাগআউটে বসে খেলা দেখেন।

প্রিয় দলের খেলা দেখেন কান্নাভেজা চোখে। ছবিটি এখন ভাইরাল গোটা বিশ্বে। মেসির কান্নাভেজা ছবিটি দেখে আর্জেন্টিনার এক ফুটবলপ্রেমী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘এই যদি শেষ হয়, তবে শেষটা সুন্দর হলেও পারত।’ মেসি সাধারণত কাঁদেন না। সব সময় হাসিখুশি থাকেন। ফ্লোরিডার হার্ডরক স্টেডিয়ামে মেসির কান্না শেষ পর্যন্ত হাসিতেই শেষ হয়েছে। ১২০ মিনিটের ম্যাচটি আর্জেন্টিনা ১-০ গোলে জিতে বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার কোপার শিরোপা জিতল আর্জেন্টিনা। ২০২১ সালেও জিতেছিল ট্রফি। সব মিলে ১৬ বার কোপার শিরোপা জিতেছে আলবেসিলেস্তারা। চ্যাম্পিয়ন হয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে যতি টানেন অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। ৩৬ বছর বয়সি ডি মারিয়া ও মেসি ক্যারিয়ারে মোট চারটি মেজর টুর্নামেন্ট জিতেছেন। ২০২১ ও ২০২৪ সালে কোপা আমেরিকা, ২০২২ সালে বিশ্বকাপ এবং কোপা ও ইউরো চ্যাম্পিয়নদের লড়াই মাসিলিয়ামো জিতেছে আর্জেন্টিনা। কোপা শিরোপা জিতে মেসি নিজেকে নিয়ে যান অনন্য উচ্চতায়। সব মিলে ক্যারিয়ারে আন্তর্জাতিক ও ক্লাব পর্যায়ের ৪৫টি ট্রফি জিতেছেন মেসি। ৪৪টি ট্রফি জিতে সবার ওপরে ছিলেন ব্রাজিলের দানি আলভেজ। আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে এবারের কোপায় ১৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে খেলেছে। কলম্বিয়া খেলেছে ২০০১ সালের পর শিরোপা জয়ের স্বপ্ন নিয়ে। হার্ডরক স্টেডিয়ামে ফাইনালে আর্জেন্টিনা খেলতে নামে রেকর্ড ১৬ শিরোপা জয়ের টার্গেটে। হামেস রদ্রিগেজের নেতৃত্বে কলম্বিয়া খেলেছে ২৩ বছর পর শিরোপার টার্গেটে। সেমিফাইনালে উরুগুয়েকে হারিয়ে ফাইনাল খেলে কলম্বিয়া। মেসিবাহিনী খেলতে নামে কানাডাকে হারিয়ে। ফাইনালে দুই দল সমানতালে খেলেছে। নির্ধারিত ৯০ মিনিট গোলশূন্য ছিল। অতিরিক্ত সময়ে আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি তিন পরিবর্তন এনে একাদশ মাঠে নামান। পরিবর্ত খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন লাওতারো মার্টিনেজ। খেলতে নামেন ৪ গোল নিয়ে। ১১২ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মার্টিনেজ গোলটি করে আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন করেন। লো সেলসোর পাস ধরে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মার্টিনেজ। গোল করেই ছুটে যান দলের প্রাণভোমরা মেসির দিকে। গিয়ে জড়িয়ে ধরেন। ওই গোলের পর পায়ে ব্যথা নিয়েও নাচতে থাকেন মেসি। ৫ গোল করে কোপা আমেরিকার গোল্ডেন বুট জিতেন। টুর্নামেন্টে অসাধারণ ফুটবল খেলে ‘গোল্ডেন বল’ জিতেছেন কলম্বিয়ার হামেস রদ্রিগেজ। ম্যাচ শুরু হয়েছে এক ঘণ্টার পর। বেশকিছু দর্শক টিকিট ছাড়া পুলিশের ব্যারিয়ার ভেঙে ঢুকে পড়েন স্টেডিয়ামে। এ জন্য খেলা শুরু হয় দেরিতে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়