ইসলাম জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণা অনুমোদন করে না
নিউজ ডেস্ক
সময় একাত্তর
প্রকাশিত : ০৯:২৬ এএম, ১২ আগস্ট ২০২৪ সোমবার
ইসলাম জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণা অনুমোদন করে না
ইসলাম ন্যায় ও ইনসাফ শিক্ষা দেয়। ইসলাম জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণা অনুমোদন করে না। শুধু জাতি বা গোষ্ঠী পরিচয়ের কারণে কাউকে অপরাধী সাব্যস্ত করা যেমন স্বাভাবিক ন্যয়বোধ বিরোধী, ইসলামের শিক্ষা ও চেতনারও বিরোধী।
পবিত্র কোরআনুল কারিমের মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা বলেছেন, وَ لَا تَكۡسِبُ كُلُّ نَفۡسٍ اِلَّا عَلَیۡهَا وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی
অর্থ: ‘প্রতিটি ব্যক্তি যা অর্জন করে, তা শুধু তারই উপর বর্তায় আর কোনো ভারবহনকারী অন্যের ভার বহন করবে না’। (সূরা: আনআম, আয়াত: ১৬৪)
অর্থাৎ প্রত্যেকটা মানুষের অর্জন বা ভালো কাজের কৃতিত্ব যেমন তার, এবং তার অন্যায় কাজের দায়-দায়িত্বও তার। একজনের অপরাধের দায় আরেকজন বহন করবে না। তাই একজনের অপরাধে আরেকজনকে শাস্তিও দেওয়া যাবে না।
কোনো দল বা গোষ্ঠীর কিছু মানুষ যদি অপরাধ করে, তাহলে অপরাধীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।ঐ পুরো দল বা গোষ্ঠীকে অপরাধী সাব্যস্ত করে সবাইকে শাস্তি দেওয়া যাবে না। যে কারো ওপর আক্রমণ করা যাবে না।
বিদায় হজের ভাষণে বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ وَأَعْرَاضَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا أَلاَ لاَ يَجْنِي جَانٍ إِلاَّ عَلَى نَفْسِهِ وَلاَ يَجْنِي وَالِدٌ عَلَى وَلَدِهِ وَلاَ وَلَدٌ عَلَى وَالِدِهِ
অর্থ: ‘তোমাদের রক্ত, তোমাদের সম্পদ ও তোমাদের ইজ্জত-সম্মানে হস্তক্ষেপ তোমাদের ওপর হারাম, যেমন তোমাদের এ দিনে এ শহরে ও এ মাসে তা হারাম। জেনে রেখ! অপরাধীই অপরাধ কর্মের জন্য দায়ী ও দোষী। ছেলের অপরাধের জন্য বাবা এবং বাবার অপরাধের জন্য ছেলে অপরাধী নয়’। (সুনানে তিরমিজি)
তাই যেকোনো পরিস্থিতিতেই কোনো দল বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে ঘৃণা ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। সবাইকে অপরাধী সাব্যস্ত করা থেকে বিরত থাকতে হবে।