দেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে : শেখ হাসিনা
নিউজ ডেস্ক
দেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে : শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেকে খেলাধুলার মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেন। খেলাধুলার মাধ্যমে প্রতিযোগিতার চর্চা গড়ে ওঠে। এতে নিজেকে দেশের জন্য যোগ্য করে গড়ে তোলা যায়। বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।শনিবার বিকালে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) আয়োজিত 'শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪' এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ফুটবল জনপ্রিয় খেলা। এই খেলা প্রসারের লক্ষ্যে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফুটবল খেলতেন, আমার ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামালও ফুটবল খেলতেন। এখন আমাদের নাতি নাতনীরাও ফুটবল খেলছে। দেশের এই জনপ্রিয় খেলার উন্নতির লক্ষ্যে সব ধরনের সহযোগিতা সরকার অব্যাহত রাখবে।এই আয়োজনের জন্য বিএবিকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চা এগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা না করলে হয় না। এমন আয়োজনের মাধ্যমে ভালো খেলোয়াড় তৈরি হবে, যাতে করে দেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হতে পারে বিশ্ব-পরিমন্ডলে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোটবেলা থেকে খেলাধুলা ঠিক মতো না করলে কীভাবে চলবে? এজন্য প্রত্যেক উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছি। একদিন আমাদের খেলোয়াড়রাও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পারদর্শিতা দেখাবে।
তিনি বলেন, খেলাধুলার মাধ্যমে প্রতিযোগিতার চর্চাও গড়ে ওঠে। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও ফুটবল খেলা হয়েছে। এছাড়া আমার দাদা ফুটবল খেলতেন, বাবাও খেলতেন, ছোট ভাইয়েরা খেলত, এখন নাতিরাও দেখছি ফুটবলই খেলে। ভোরে নামাজ পড়ার পর সময় পেলে নিজেও ফুটবল খেলা দেখি।
লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও শরীর চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খেলাধুলা সকলকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করবে, পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে উঠবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি (খেলাধুলা-শরীর চর্চা) যেমন সকলকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করবে, পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে উঠবে। নিজেকে আরও উন্নত করবার একটা চেতনা জাগ্রত হবে।
তিনি বলেন, খেলাধুলা, লেখাপড়া, সংস্কৃতি চর্চার মধ্যে দিয়ে নিজের দেশের সংস্কৃতি, নিজের জ্ঞান, নিজের মেধা-মনন, সেটা প্রকাশ করার সুযোগ পাবে। সে জন্য খেলাধুলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেই আমরা।
খেলাধুলার প্রসারে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন সরকারে এসেছি তখন থেকে আমার প্রচেষ্টা, বাংলাদেশ যেন খেলাধুলায় আরও এগিয়ে যায়, ছেলেমেয়েরা আরও বেশি মনোযোগী হয়। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা উপজেলায় আমরা খেলার মাঠ করে দিচ্ছি, সেটা হলো শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সবাই যেন খেলোধুলার প্রতি আরও মনোযোগী হয়। প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে সরকারপ্রধান বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের উপযুক্ত করে গড়ে তোলা, এটা সবচেয়ে বেশি দরকার। সেজন্য আমরা প্রত্যেক বিভাগে একটি করে বিকেএসপি করে দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের অর্থনীতিকে উন্নত করেছি, দারিদ্র্যের হার আমরা অর্ধেকের বেশি কমিয়ে এনেছি, এখন ১৮ দশমিক ৭ ভাগ। অতি দারিদ্র্যের হার ২৫ ভাগের ওপরে ছিল, তা ৫ দশমিক ৬ ভাগে নামিয়ে এনেছি। ইনশালস্নাহ, এইটুকু থাকবে না। বাংলাদেশে কোনো মানুষ অতিদরিদ্র থাকবে না। প্রত্যেককে বিনা পয়সায় ঘর করে দিচ্ছি, লেখাপড়ার বই দিচ্ছি, বৃত্তি দিচ্ছি, সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।
শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এই ধারা অব্যাহত রেখে আমরা এগিয়ে যাব। বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে বিশ্ব দরবারে এগিয়ে যাবে, উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে।
খেলাধুলায় বাংলাদেশ ভালো করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বাংলাদেশে মেয়েদের বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট এবং ছেলেদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফুটবল টুর্নামেন্ট প্রতিযোগিতা আছে। সেখান থেকে ধীরে ধীরে ভালো খেলোয়াড় উঠে আসছে। তারা শুধু দেশে না, দেশের মাটি পার হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের জন্য মর্যাদা বয়ে নিয়ে আসছে। বাংলাদেশকে খেলাধুলার মাধ্যমে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা, এটা তারা করছে।
ফুটবল টুর্নামেন্টটি আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই খেলাধুলার মধ্যে দিয়ে এক সময় উপযুক্ত খেলোয়াড় গড়ে উঠবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলাধুলা করে কোনোদিন হয়তো ফুটবলে আমরা চ্যাম্পিয়নও হয়ে যেতে পারি। সেটাই আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।
টুর্নামেন্টের ফাইনালে স্টান্ডার্ডড ব্যাংক প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিকে ২-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইসলামী ব্যাংক প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফাইনাল ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- Tk 12,500 announced as minimum wage for RMG workers
- PM vows to make leprosy free Bangladesh by 2030
- Bangladesh joins `50-in-5` campaign as first-mover country to implement DPI
- রাজধানীতে আজ চালু হলো ১০টি ইউটার্ন
- আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাঃ রাষ্ট্র বনাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- কৃষিপণ্য কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ফুড ফর ন্যাশন’ উদ্বোধন করে
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- ২৫তম পর্ব: কর্ডন প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই
- Metro-rail brings ease in capital`s nightmare transport system